নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীর ভাটিখানা পান্থ সড়ক এলাকায় মায়ের পরকীয়া প্রেম দেখে ফেলা এবং তাতে বাধা দেওয়ায় সোনালী (২৪) নামের এক যুবতীকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবতী ভাটিখানা প্রান্ত সড়কে এলাকার প্রবাসী আজিজ শরীফের মেয়ে।

গতকাল রাত সাড়ে আটটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত-যুবতীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে আহত সূত্রে জানা গেছে আহত সোনালীর বাবা আজিজ শরীফ দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবে প্রবাস জীবন পার করছে। এবং সোনালীর মা পারুল বেগম তার স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী মোকলেস নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।

দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম চলার পরে মেয়ে সোনালী বিষয়টা জানতে পারলে মা পারুল বেগম সুমন নামের এক যুবকের সাথে টাকার বিনিময়ে মেয়ে সোনালীকে জোরপূর্বক বিবাহ দেয়। বিয়ের পর সোনালী জানতে পারে সুমনের একাধিক বিবাহ রয়েছে এবং বিয়ের তিন মাসের মাথায় সে সুমনকে তালাক দেয়।

এদিকে মোখলেসের কাছ থেকে পারুল বেগম দীর্ঘদিন আগে সোনালীর চেক বই দিয়ে সোনালির নামে ৫০ হাজার টাকা ধার আনে। এদিকে পারুল ও মোকলেসের পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলেন মোকলেস, সোনালীর কাছে চেক বাবদ ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। অন্যথায় মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে জানায়।

এ নিয়ে সোনালী গতকাল ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন এর কাছে অভিযোগ দিতে যায় সোনালি। অভিযোগ দিয়ে আসার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তালাক দেওয়া স্বামী সুমন, মায়ের পরকীয়া প্রেমিক মোখলেস, জুয়েল, ও মোখলেসের দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি বেগম ধারালো দা ও রামদা দিয়ে সোনালীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে সোনালীর গলা, হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।এ সময় সোনালীর কাছে থাকা বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলা কারিরা। পরে আহতর ডাক চিৎকার স্থানীয় ছুটি আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত সোনালী শেবাচিমের অর্থপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাদারের প্রস্তুতি চলছে।